রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
Riya Patra | ০৫ মে ২০২৪ ২১ : ৫৮Riya Patra
মিল্টন সেন,হুগলি,৫ মে: নির্বাচনী সভাকে কেন্দ্র করে কার্যত জনসমুদ্র চন্দননগরে। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে বন্ধ হয়ে যায় মানকুন্ডু স্টেশন রোড চত্ত্বর। রবিবার সন্ধেয় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী, অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জির সমর্থনে মানকুণ্ডু সার্কাস ময়দানে এক নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। এদিনের সভায় প্রার্থী রচনা বলেছেন, প্রচারে বেরিয়ে তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই আগের সাংসদ সম্পর্কে অভিযোগ শুনেছেন। সর্বত্রই মানুষের মুখে অভিযোগ সাংসদকে গত পাঁচ বছর দেখতে পাননি। এই অভিযোগ শুনে শুনে তিনি ক্লান্ত। রচনা আরও বলেন, তিনি জিতলে এই অভিযোগ করার সুযোগ কাউকে দেবেন না। রাজনীতি তিনি বোঝেন না। তাই রাজনৈতিক কোনও বক্তব্য রাখবেন না। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দায়িত্ত্ব দিয়েছেন। তিনি সেই দায়িত্ত্ব পালন করবেন। তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ, সব সময় মানুষের পাশে থাকবেন।
এদিন বক্তব্যের শুরুতেই নাম না করে বিজেপি প্রার্থী লকেট চ্যাটার্জিকে আক্রমণ করেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বলেন, ওই ময়দানে সভা করে চন্দননগরের উপ মহানাগরিক সহ দলীয় নেতৃত্বকে বিজেপির প্রার্থী ইডি সিবিআই-এর হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। চন্দননগরে যাঁরা থাকেন তাঁরা বাঘ। ওইসব কথায় কেউ ভয় পায় না। তাঁর বিরুদ্ধে চন্দননগরে ১৮ কোটি টাকার বাড়ি করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। প্রতুত্তরে ইন্দ্রনীল সেন বলেছেন, জনসমক্ষে এই প্রমাণ যদি দিতে পারেন তাহলে ওই বাড়ি তিনি বিজেপি প্রার্থীকেই অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করতে রাজি। এবং বিক্রি করার সেই মূল্য তিনি চন্দননগরের উন্নয়নে খরচ করবেন। কারন গত পাঁচ বছর সাংসদ তহবিলের কোনও উন্নয়নের স্বাদ পায়নি চন্দননগর। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, জমির ব্যবসা করে এমন মানুষ নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। নরেন্দ্র মোদি চা বিক্রি করে যদি প্রধান মন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে জমি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা কেনও তৃণমূল করতে পারবে না, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে শিল্পীদের পারিশ্রমিক থেকে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী। এই অভিযোগের প্রমাণ তাঁকে দিতে হবে বলেও জানান জনসমক্ষে। বলেন, বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও চন্দননগরের কেউ যদি কখনও তার বিরুদ্ধে একটাকা দেওয়ার প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে তিনি আর কোনও দিন চন্দননগরে ঢুকবেন না।
ছবি পার্থ রাহা।